ভোলা ডিসি অফিস সহকারী আব্দুল হকের প্রতারণার ফাঁদে একাধিক মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, 12:40 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, 12:40 AM
ভোলা ডিসি অফিস সহকারী আব্দুল হকের প্রতারণার ফাঁদে একাধিক মানুষ
বিশেষ প্রতিনিধি:
ভোলা ডিসি অফিসের সহকারি পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান পান্নার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে ডিসি অফিসের সহকারী আব্দুল হক ওরফে ডি সি কালুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটির বিচার চেয়ে প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান পান্না ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে বলে এরকম একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
মোঃ বিল্লাল নামের আরেকজন ভুক্তভোগী জানান আমার ছেলে কে তার স্যারের মাধ্যমে চাকরি দিবে বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে চাকরি তো দূরের কথা সে আমার সাথে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুরাঘুরি করছে, চাকরির কথা বললে আজ না কাল বলে একবার ঢাকা একবার চট্টগ্রাম স্যারের সাথে মিটিং আছে এ কথা বলে আমাকে গুঁড়িয়ে রাখে, এখন পর্যন্ত আমার টাকা পয়সা দেয়নি আমি ওর মত প্রতারকের কঠিন বিচার চাচ্ছি। ডিসি অফিসে চাকরির সুবাদ যে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে শুনতে পেলাম।
তথ্য অনুযায়ী জানা যায় আব্দুল হক ওরফে ডিসি কালুর বিরুদ্ধে একাধিক চাকরি দেওয়ার প্রতারণার ও জমি বিক্রয়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে, অনুসন্ধান প্রতিদিন কে শিব শংকর পাল জানান আমার পরিচিত মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে ডি সি কালুর আমার সাথে পরিচয় হয়,সে সুবাদে সে আমার জমি উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে তিনটি ব্লাংস্ট্যামে সিগনেচার নেন। কিছুদিন পরে আমি স্ট্যাম্পের বিষয় জানতে চাইলে সে আমাকে জানান আমি নাকি আমার বাপ দাদার জমি তাকে নোটারি করে দিয়েছি, আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট সে আমাকে জমি উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাদের জমি নোটারি করে ডিসি কালু অনেকের কাছ থেকে বায়না সূত্রে টাকা নিয়েছে এখন তারা জমি দখল করে বসে আছে।
এ বিষয় স্টাম বাতিল চেয়ে আমি ভোলা জজ কোটে একটি মামলা করি,আমি চাই সঠিক তন্ত্রের মাধ্যমে স্ট্যাম্প গুলো ফিরে পেতে এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ওদের মত প্রতারকগণ কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়, যাতে করে আমাদের মত নিরক্ষর লোকগুলি এরকম প্রতারিত না হতে হয়। এ প্রতারক ডি সি কালুর বিরুদ্ধে একাধিক জাল জালিয়াতি প্রতারণার মামলা রয়েছে, এরপরও কোন আইনকে তোয়াক্কা না করে সে তার কর্মস্থলে বুক ফুলিয়ে চাকরি করে যাচ্ছে কার চত্য ছায়া।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আব্দুল হক ওরফে ডিসি কালো এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে চলে যান।