ঢাকা ২৬ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
“প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়”—কেন্দুয়ায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত সড়ক সংস্কারের দাবীতে ৫ গ্রামের লোকের মানববন্ধন ঢাকার পশুহাটে শেকৃবির ইন্টার্ন ভেটেরিনারি ডাক্তারদের চিকিৎসাসেবা শালিখায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তিন বকশীগঞ্জে জিয়া পরিবারের ছবি অবমাননার অভিযোগ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রামপালে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ বটিয়াঘাটায় মৎসজীবীদের নিয়ে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু সেনাবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ গ্রেফতার ৪ মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বিএনপি নেতাসহ আটক ২৪

স্বামীকে হাসিমুখে বিদায় দিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যা

#

আক্তারুল ইসলাম আক্তার, ঠাকুরগাঁওঃ

০১ জানুয়ারি, ২০২২,  6:53 PM

news image

 ঠাকুরগাঁওয়ে তিন সন্তানের জননী নিজ শোয়ার ঘরের দরজার ছিটকিনি আটকে প্লাষ্টিকের দরি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ।

শনিবার সকাল ১০ টায় সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের আকচা মুন্সিপাড়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।

নিহত তিন সন্তানের জননী সোনালী আক্তার (৩২) হাজিমুল আলীর স্ত্রী ও সাবেক ইউপি সদস্য মহসিন আলীর পূত্রবধূ। 

নিহতের স্বামী হাজিমুল জানান, সকাল থেকে সংসারের কাজ করেছে সোনালী। আমি সকাল সাতটার মধ্যে ব্যবসার কাজে সবজির আড়তে চলে যাই। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমাকে হাসিমুখেই বিদায় জানায় আমার স্ত্রী। পরে মুঠোফোনের মারফত জানতে পারি তার আত্মহত্যার খবর। হাজিমুল জানান পরপর তিনটি ছেলে সন্তান হয়েছে আমাদের। আমার স্ত্রীর একটি কন্যা সন্তান খুব করে চেয়েছিল। গত চার মাস আগে জন্মগত হৃদরোগ ও ডায়বেটিস রোগাক্রান্ত হয়ে আমার তৃতীয় ছেলের জন্ম হয়। সেই থেকে আমার স্ত্রী মানসিকভাবে খুব ভেঙ্গে পড়ে। প্রতিদিন রাতে কান্নাকাটি করতো আর আফসোস করতো। আমি অনেক বোঝাতাম। ভরসা রাখতে বলতাম। 


গ্রামবাসী তাহমিনা তামান্না বলেন, সোনালী ভাবি অনেক সংসারী ছিলেন। অনেক হিসেবি ছিলেন। তাঁর তৃতীয় সন্তানের জন্য সে খুব হতাশায় ভুগছিলেন। অনেক টাকা পয়সাও দৈনিক খরচ করতেন সন্তানের চিকিৎসার জন্য। তাকে প্রায় বলতে শোনা যেতো এ জীবন রাখবোনা। মাঝে মাঝে সন্তানদেরও মেরে আত্মহত্যা করতে চাইতেন। আমরা অনেক বোঝাতাম। স্বান্তনা দিতাম। ঘটনাটি বেদনাদায়ক ও অনাকাঙ্খিত। 


স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহতের স্বামী কাজে চলে যাওয়ার পর অনেক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় এবং অনেক ডাকাডাকিতেও কোন সারা না পেলে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা  কজন দরজা ঠেলে দেখি ঘরের সরের সাথে মরদেহটি ঝুলছে। পরে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের খবর দেই।


স্থানীয় ইউপি সদস্য কুলুরাম রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার সম্ভ্রান্ত ও সম্মানী ব্যক্তির পরিবার এটি। হতাশাগ্রস্থ হয়ে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান। 


ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম  বলেন, পুলিশ অফিসাররা ঘটনা স্থলে গিয়েছে তারা দেখছেন। এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

logo সম্পাদক ও প্রকাশক: মিরাজুন নুরিয়া