সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চাদাঁবাজ চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ ডিসেম্বর, ২০২১, 3:21 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ ডিসেম্বর, ২০২১, 3:21 PM

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চাদাঁবাজ চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চাদাঁবাজ চক্রের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৮ডিসেম্ভর জগন্নাথ পুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের, বড়কাপন গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইব্রাহিম মিয়ার পুত্র কালা মিয়া বাদী হয়ে ৭জনের নামে চাঁদাবাজ,মাস্তানি,ও অবৈধ কর্ম কান্ডের অভিযোগ এনে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা কাদির মিয়ার ছেলে মো:মুবিন(১৮), আমির আলীর ছেলে মো: আলী আহমদ(২৫),মৃত জŸারক আলীর ছেলে মো: আপ্তাব আলী(৫৫), আনফর আলী(২৫), মৃত আলমদর আলীর ছেলে মো: তুরন আলী(৩৫), রমিজ আলীর ছেলে মো: রাকিব আলী(৪০),মো: জমির আলী(৩৫)। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় চাদাঁ না দেওয়ার কারনে গত ৭ডিসেম্ভর সকালে বিবাদীগংরা মিলে কালামিয়াকে মারপিট করে একঘর করে রাখে। এবং কালা মিয়ার দায়িত্বে থাকা মার্কেটের দোকান কোঠা অবৈধ ভাবে দখল করে নেয় মুবিন ,আলী আহমদ গংরা।
জানা যায় পৈলাবাগ মৌজার ২৩১নং খতিয়ানের যার ৮০ নং জে.এল, এবং-৫৯৩,৬০০,৬২০,৬৪৭ নং দাগের ৫৯ শতাংশ জায়গার উপর হানিফ মার্কেট ও পুকুর রয়েছে, লন্ডন প্রবাসী হানিফ উল্লাহ যার সত্ত্বাধীকারী। লন্ডন যাওয়ার সময় হানিফ মার্কেটের দোকান কোঠার ভাড়া আদায় ও রক্ষনা বেক্ষনের জন্য হানিফের চাচাতো ভাই কালা মিয়াকে দায়িত্ব এবং ক্ষমতা অর্পন করে দিয়ে যান হানিফ মার্কেটের মালিক । তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ডিসেম্ভর দোকান কোঠার ভাড়া আদায় করতে হানিফ মার্কেটে গেলে বিবাদীগংরা মিলে দোকান কোঠার ভাড়া না দিয়ে ২লক্ষ টাকা উল্টো চাদাঁ দাবী করে ৪টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং কালা মিয়াকে মারধর করে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে হানিফ মার্কেট দখল করে নিবে বলেহুমকি প্রদান করে। এছাড়াও কালা মিয়া ও তার পরিবারকে গ্রামে একঘর করে রাখে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিবাদীগংরা মিলে দোকান কোঠা অবৈধ ভাবে দখল করার জন্য দোকানের ভাড়া আটকে রাখে। ঐ সমস্ত চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সরেজমিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটি দাবী ভোক্তভোগী পরিবারের।