সাংবাদিক পরিচয় অর্থ দাবির অভিযোগ অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতারকচক্র
অনলাইন ডেক্স
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 9:03 PM

অনলাইন ডেক্স
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 9:03 PM

সাংবাদিক পরিচয় অর্থ দাবির অভিযোগ অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতারকচক্র
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট পূর্ব চক প্রসাদ এলাকার সমাজ সেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
আর এস অভিযোগে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগি মো. আব্দুল হান্নান একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। যার জিডি নম্বর- ৩৭১, জিডির ট্রাকিং নং TKNCX7। জিডির অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগি আব্দুল হান্নান একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নমুলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফেসবুক পেইজে দেখতে পান মো. মাহফুজুর রহমান এর ফেসবুক আইডি এবং কালের সংগ্রাম ফেসবুক পেইজ এ ভুক্তভোগির ছবি ব্যবহার করে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে তার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। উক্ত পেইজ এর আব্দুর রাফাত, রুবেল হাসান রতন, ফেসবুক পেইজ মো. মোসাদ্দেক, লিংক এর আইডি হতে নানা মন্তব্য করে তার সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। অভিযোগে আরো জানা গেছে, উক্ত প্রতারচক চক্রের সদস্যরা উল্লেখিত ফেসবুক আইডি হতে ভুক্তভোগি আব্দুল হান্নানের পরিচিত ও আত্মীয় স্বজনসহ বন্ধু বান্ধবদের কাছে তার নাম ব্যবহার করে অর্থ দাবিসহ অশ্লীল ম্যসেজ প্রদান করে তার সন্মান হানি করছেন। এ বিষয় ভুক্তভোগি আব্দুল হান্নান জানান, বরেন্দ্র ডিপ নিয়ে তার সাথে বরেন্দ্র অফিসের ধামইরহাট থানার সহকারী প্রকৌশল সঙ্গে কথা হয়। তিনি তাকে অনুরোধ করে আগের যে বরেন্দ্র ডিপ অপারেটর মো. ফিরোজ হোসেনকে দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু ধামইরহাট থানার সহকারী প্রকৌশলী তাকে বলেন হানজালা বলে দিয়েছেন মো. আব্দুর রাফাত কে দেওয়ার জন্য। এসময় তিনি সহকারী প্রকৌশলকে বলেন, ফিরোজ হোসেন গত সিজনে তিন লাখ টাকা খরচ করে নতুন করে বরেন্দ্র ডিপ তার নিজ জায়গাতে বসিয়েছিলেন। আর ডিপের আশেপাশে সব জমিই তাদের। মো. আব্দুল রাফাত এর কোন জমি ডিপের আশেপাশে নাই। শুধু তাই নয়, বরেন্দ্র ডিপ থেকে মো. আব্দুল রাফাতের বাড়ি তিন কিলোমিটার দূরে। তারপরও তিনি কিভাবে বরেন্দ্র ডিপ অপারেটার হতে পারেন। এসময় ধামইরহাট উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তাকে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার জন্য বলেন। এরপর তিনি রাজশাহী বরেন্দ্র হেড অফিসে নির্বাহী পরিচালকে সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আর এসব ঘটনার জের ধরে মো. আব্দুর রাফাত আমার ফেসজবুক ম্যাসেনজারে বিভিন্ন গালাগালি ও হুমকি দিয়েছেন। এঘটনার একদিন পরই হানজালা নামে এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করে আমার পরিচয় জানতে চান। পরে আমার পরিচয় দেওয়ার পর তিনি তার ফোন নম্বরটি কেটে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই মো. রুবেল হোসেন ওরফে রতন নামে সাবেক ছাত্রনেতা পরিচয়ে আমাকে ফোন করে বলেন, আপনি কোন গভীর নল কূপের বিষয় কোন সুপারিশ করেছেন? এসময় আমি তাকে বললাম হ্যাঁ করেছি। এপর তিনি আমার কাছে জানতে চান, আমি কাকে কত টাকা দিয়েছি। পরে আমি তাকে বলি টাকা দেব কেন। আমাকে বলা হয়, হানজালা ভাইকে কোন টাকা দিয়েছেন। আমি তাকে টাকা না দেওয়ার কথা বলি। তিনি আমাকে আবারো বলেন, বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলীকে কেনো বলেছেন যে হানজালা টাকা নিয়ে মানুষকে গভীর নলকূপ নিয়ে দেয়। আমি তখন তাকে বলি আপনে কে বলিছেন, সে বলে আমি সাবেক ছাত্রনেতা রতন। আমি তাকে বলি গত ৫ আগষ্টের পর থেকে আপনারা অনেক লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বরেন্দ্র নলকূপ নিয়ে দেন। এছাড়া আরো অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমি দুর্নীতি প্রতিবাদ করায় আমাকে এক জন সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করেন। তিনি কালের সংগ্রাম নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মো. মাহফুজ রহমান পরিচয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন রতন ভাইকে আপনে কি বলেছেনে। আপনার নামে অনেক অভিযোগ আছে। আমি তাকে বলাম আমার নামে কি অভিযোগ বলেন, তখন সে আমাকে বলে আপনে চাকুরী দেওয়ার নামে অনেক টাকা নিয়েছেনে।
আমি তার কাছে নাম জানতে চাইলে তিনি আবু সুফিয়ান রানা ও শাহিন আলম এবং বাইছেল আজম ওরফে খুরুম। আর সুইস হোসেন, দেওয়ান হাফিজার নাম উল্লেখ করেন।
আব্দুল হান্নান আরো বলেন, উল্লেখিত যাদের নাম বলা হয়েছে, তাদের কেউ তার কাছে কোন প্রকার টাকা পয়সা পাবেন না। আর তার কোন প্রকার প্রমাণও দেখাতে পারবে না। এ কথা শোনার পর তিনি আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু আমি সাংবাদিক মাহফুজকে কোন টাকা দিতে পারবো না বলা হলে তিনি আমাকে বলেন, টাকা না দিলে আপনার নামে গুজব নিউজ ছড়াবেন বলে তার ফোন কেটে দেন। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা নিউজ করে ফেসবুকে ছরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ প্রধান ও র্যাবের প্রধাসহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভুক্তভোগি আব্দুল হান্নান।