ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারীঘাটে হিন্দু ধর্মালম্বীদের অষ্টমী স্নান উৎসব
মফিদুল ইসলাম লাভলু ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
০৯ এপ্রিল, ২০২২, 9:54 PM

মফিদুল ইসলাম লাভলু ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
০৯ এপ্রিল, ২০২২, 9:54 PM

ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারীঘাটে হিন্দু ধর্মালম্বীদের অষ্টমী স্নান উৎসব
মহামারি করোনায় দুই বছর অষ্টমী স্নান বন্ধ থাকার পর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারীঘাটে আবারও সনাতন ধর্মালম্বীদের স্নান উৎসব হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব অষ্টমী স্নান উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তীর্থস্থান ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের দু’পাড়ে ৯ এপ্রিল শনিবার লাখো পূণ্যার্থীর ঢল নামে। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের দু’পাড়ে বিভিন্ন ঘাটে এসে পূণ্যার্থীরা জুড়ো হয়।
স্নানোৎসবে আসা দূর-দূরান্তের তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ময়মনসিংহ সিটি করর্পোরেশন ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী স্থানে পূণ্যার্থীদের কাপড় পাল্টানোর জায়গা ও শৌচাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছে। উৎসবটিকে ঘিরে নদ তীরবর্তী এলাকায় ও বিভাগীয় শহরের দূর্গাবাড়ী, স্বদেশী বাজার, আমপট্রি সড়ক ও বিভিন্ন মন্দিকেন্দ্রীক গ্রামীন মেলা বসেছে ।
অষ্টমী স্নানকে ঘিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীরা “হে ভগবান ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্র, আমার পাপ হরণ কর” পবিত্র মন্ত্র উচ্চারন করে ফুল, কলা, আম, ডাব, হরতকিসহ পূণ্যার্থীরা ভক্তিমন্ত্রের সাথে সাথে মেতে উঠে স্নানোৎসবে। পাপ মোচনের বাসনায় প্রতি বছরই অষ্টমী তিথিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তীর্থস্থান ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের দু’পাড়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো পূণ্যার্থীর স্নানোৎসবে কয়েকটি ঘাটে চলে এই স্নানোৎসব।
করোনায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর উৎসব মূখর পরিবেশে এ বছর ব্রহ্মপুত্র নদের গফরগাওঁয়ের রোৗহা, ত্রিশালের ধলা, কালির বাজার, সদরের বেগুনবাড়ি, বিদ্যাগঞ্জ, পিয়ারপুরসহ কয়েকটি স্থানের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে পুণ্যার্থীরা অষ্টমীর স্নান ও পুঁজা সম্পন্ন করেন। অষ্টমী স্নান উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। এ ছাড়া সূর্য উদয়ের সাথে সাথেই ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, মসিকের খাদ্য ও স্যানিটেশন অফিসার দীপক মজুমদার, মসিক কাউন্সিলর,মহিলা কাউন্সিলর,মসিক স্যানিটারী ইন্সপেক্টর রেজাউল আলম,অষ্টমী স্নান কমিটির নেতৃবৃন্দ কাচারীঘাট পরিদর্শন করেন।