ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সড়ক সংস্কারের দাবীতে ৫ গ্রামের লোকের মানববন্ধন ঢাকার পশুহাটে শেকৃবির ইন্টার্ন ভেটেরিনারি ডাক্তারদের চিকিৎসাসেবা শালিখায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তিন বকশীগঞ্জে জিয়া পরিবারের ছবি অবমাননার অভিযোগ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রামপালে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ বটিয়াঘাটায় মৎসজীবীদের নিয়ে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু সেনাবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ গ্রেফতার ৪ মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বিএনপি নেতাসহ আটক ২৪ উদোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক এ.কে.এম.মুজাহিদুল ইসলাম

প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামে বাজার দখল করায় মৃৎশিল্পীরা পেশা বদলাচ্ছে

#

অনলাইন ডেক্স

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  6:56 PM

news image

মোহাম্মদ আবু জাফর( লাল),মাগুরা

৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যের একটি  বৃহৎ অংশ মৃত শিল্প। আগেকার দিনে গ্রাম বাংলার মানুষেরা সচারাচার মাটির তৈরি হাড়ি -পাতিল, কলস, খেলনা দইয়ের পাত্রসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠার ছাঁচ  তৈরি করতেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে মাটির তৈরি পাত্রের খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু পৃথিবী আধুনিকায়ন হওয়ার সুবাদে মাটির তৈরি পাত্রের পরিবর্তে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম  ও সিলভারের তৈরি জিনিসপত্র বাজার দখল করে নিয়েছে। ফলে মৃৎশিল্পীরা প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়েছে।পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কাজে সিদ্ধ হস্ত হলেও বিজ্ঞানের এই যুগে তা প্রায়  অচল।  মৃৎশিল্পীরা এখন কঠিন সময় পার করছে। 

জানা গেছেশালিখা  উপজেলার দরিশলই,গংগারামপুর,হরিশপুর ও শরুশোনা গ্রামের মৃৎশিল্পীরা বিশেষ করে- ঘরে ফসল তোলার মৌসুমে খুবই কর্মব্যস্ত থাকতেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চরকা ঘুরিয়ে মাটির হাড়ি, পাতিল, ফুলের টব, দই এর পাত্র এবং বাচ্চাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর আদলে পাত্র তৈরি করতেন। সেই সমস্ত চিত্র এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। মৃৎশিল্পীরা অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে পেশা পরিবর্তন করছেন। কারণ পূর্বের মতো এসব মালের চাহিদা বাজারে তেমন নাই, এবং পূর্বের তুলনায় এর দামও অনেক কম। পক্ষান্তরে এসব মালামাল তৈরি করতে লাকড়িও মাটি কিনতে অনেক টাকা ব্যয় হয়। উপজেলার দরিশলই গ্রামের রবিন পালের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ পেশা এখন আর পূর্বের মত গুরুত্ব বহন করছে না,।লাকড়ি ও মাটির দামের সাথে সামঞ্জস্য করে মালামাল বিক্রি করা খুবই দূর হো ব্যাপার। 

 যার কারনে, বাধ্য হয়ে নিজেরা এবং সন্তানদের অন্যান্য কাজে  নিয়োজিত করতে হচ্ছে। 

logo সম্পাদক ও প্রকাশক: মিরাজুন নুরিয়া