পারিবারিক কলহে মামার মৃত্যু: ভাগিনা গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ এপ্রিল, ২০২৫, 8:21 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ এপ্রিল, ২০২৫, 8:21 PM

পারিবারিক কলহে মামার মৃত্যু: ভাগিনা গ্রেফতার
শাহ আলী তৌফিক রিপন, বিশেষ প্রতিনিধি :
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মামা কাঞ্চন মিয়া (৬৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় ভাগিনা মাজাহারুল ইসলাম (২১) কে গ্রেফতার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি (২০২৫) কেন্দুয়া থানাধীন ৯নং নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে। নিহত কাঞ্চন মিয়া ওই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। জানা যায়, আসামি মাজাহারুল ইসলাম, পিতা মৃত সেলিম মিয়া, সাং-নওপাড়া, প্রায়ই তার মা’র সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করতেন। এতে বিরক্ত হয়ে মাজাহারুলের মা তার ভাই কাঞ্চন মিয়াকে বিষয়টি অবহিত করেন।
ঘটনার দিন কাঞ্চন মিয়া বিচার করার উদ্দেশ্যে ভাগিনার বাড়িতে যান। দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাজাহারুল ও তার স্ত্রী মিলে কাঞ্চন মিয়াকে মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মামলাটি (মামলা নং-৯) রুজু করা হয়। মামলায় দণ্ডবিধির ৩২৩/৩০৭/৩০২/৫০৬ ধারা উল্লেখ করা হয়।
মামলার পর থেকেই আসামি মাজাহারুল ও তার স্ত্রী পলাতক ছিলেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় জানতে পারেন, মাজাহারুল নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাত এলাকায় অবস্থিত ড্রিম হলিডে পার্কের পাশে একটি কর্মস্থলে কাজ করছেন।
এরপর ২১ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে কেন্দুয়া থানা পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। পরদিন ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে মাজাহারুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলা চলমান রয়েছে।”
এদিকে, কাঞ্চন মিয়ার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন