দৌলতখানে ভাঙ্গা ও কাঁচা রাস্তার কারণে পিছিয়ে আছে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ মে, ২০২৫, 12:14 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ মে, ২০২৫, 12:14 AM
দৌলতখানে ভাঙ্গা ও কাঁচা রাস্তার কারণে পিছিয়ে আছে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা
মোঃ মেহেদী হাসান সুমন: দৌলতখান সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী গ্রামের ০৮নং ওয়ার্ডে বহু বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল দশায় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ।পিছিয়ে আছে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা থেকে।
প্রায় ১কিলোমিটার গ্রামীন রাস্তাটি দীর্ঘ বছর ধরে এমন বেহালদশায় পড়ে আছে মনে হয় এই এলাকায় কোন মানুষ বসবাস করেনা।রাস্তাটির চিত্র দেখে দৈনিক ভোলা টাইমস্ স্থানীয়দেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন,আমরা এই এলাকায় দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে বসবাস করে আসছি,কিন্তু অনেক কিছু উন্নতি হলেও উন্নতি হয়নি আমাদের এই যাতায়াত করা রাস্তাটি।তারা আরো বলেন,এখানে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে,৪৫নং বড়ধলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪০নং মধ্য বড়ধলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তাটি দিয়ে হাঁটা-চলায় অনুপযোগী হয়ে যায়। হাজার হাজার লোকের যাতায়াত এই রাস্তাটি দিয়ে।কোন মানুষ অসুস্থ হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না।গাঁড়ি চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় বর্ষার দিনে বাজারে মসজিদে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে যায়।স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেনা।একদিকে রাস্তার এই অবস্থা অন্যদিকে কাঁচা বেরিবাঁধ তার পরেও হয়নি এই গ্রামীন রাস্তাটির কাজ।আমরা অবহেলিত,আমরা অভিশপ্ত এলাকায় বসবাস করে আসছি।রাস্তাটি নিয়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের নেই কোন মাথা ব্যাথা।ইউপি ভোট আসলে প্রার্থীরা বলতেন আমাকে ভোট দিবেন আমি রাস্তাটি করে দিবো,কিন্তু ভোটে জয় হলে আর কেউ খবর রাখতেন না।এখন এই এলাকায় বসবাস করাটা আমাদের জন্য অনিশ্চত হয়ে দাঁড়িয়েছে।নদী এলাকার কারণে মানুষের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন,এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করা মোটেও সম্ভব নয় তার কারণ, এই রাস্তার কথা শুনলে গাড়ি আসতে চায়না,আমরা দূর-দূরান্ত থেকে আসি সময় মত আসতে পারিনা।দূরের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন স্কুলে আসেনা বৃষ্টি হলে স্কুল শূণ্য থাকে।তাই এই এলাকায় শিক্ষার হার দিন দিন কমে যাচ্ছে।কেউ অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না।তারা আরো বলেন, আওয়ামীলিগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন এই এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানকে অনেকবার বলা হয়েছে রাস্তাটির কাজ করার জন্য, কিন্তুু তারা শুধু আসা দিয়ে সময় পার করেছেন।সংস্কার হয়নি আজও রাস্তাটি।তারা আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন কেউ চেষ্টা করেনি। প্রায় ১৫বছর দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে কোথায় ও কোন কাঁচা রাস্তা নেই শুধু এই রাস্তাটি এইভাবে পড়ে থাকার কোন না কোন অবহেলা কারণ রয়েছে।
বর্তমান দৌলতখান উপজেলা দায়িত্বশীলদের কাছে এলাকার স্থানীয় লোকজনের একটাই দাবি,রাস্তাটির কাজ যেন দ্রুত করে দিয়ে এলাকায় বসবাস করার উপযোগী করে দেয়