দেশের মাটিতে পা দিতেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মুরাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, 12:54 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, 12:54 PM
দেশের মাটিতে পা দিতেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মুরাদ
বিমানবন্দরে নামার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে সংসদ সদস্যকে ও সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে। করোনার ডাবল ডোজ টিকার সনদ না থাকলেও কিভাবে বিমানবন্দর দিয়ে কানাডায় গেছেন এসব বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ট্রানজিটের যাত্রী হওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে সদ্য প্রতিমন্ত্রিত্ব হারানো ডা. মুরাদকে।
এর আগে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে গেছেন কানাডা ও আমিরাত প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফেরা বহুল আলোচিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। যদিও এর আগে তিনি সিআইপি গেট ব্যবহার করতেন। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) দায়িত্বশীল একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, মুরাদ হাসান বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের সামনে এলেও সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছেন দেখে ভেতরে চলে যান এবং বিমানবন্দরের ভেতর দিয়ে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যান। সেখানে বাইরে তার জন্য হোন্ডা সিআরভি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি প্রস্তুত ছিল।
দেশে ফেরার সময় তার পরনে ছিল জিন্সের নীল রংয়ের প্যান্ট, গায়ে ছিল জ্যাকেট। ওই জ্যাকেট দিয়ে তাকে মাথা ও মুখ ঢেকে রাখতে দেখা যায়। ঢাকা থেকে কানাডা যাওয়ার সময়ও তিনি মুখ ঢেকে রেখেছিলেন।
মুরাদ হাসানের দেশে ফেরার খবরে সাংবাদিকরা দুপুর থেকেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
এর আগে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট নাগাদ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন মুরাদ। কানাডার পর দুবাইয়ে ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
সম্প্রতি ডা. মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এর পরই প্রতিমন্ত্রী মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।