জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রামপালে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ মে, ২০২৫, 12:16 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ মে, ২০২৫, 12:16 AM

জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রামপালে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, অবিসংবাদিত রাষ্ট্রনায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বাগেরহাটের রামপালে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি।
শুক্রবার (৩১ মে) ফজরের নামাজের পর রামপাল উপজেলার রাজনগর হাফিজিয়া কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অনুষ্ঠিত হয় খতমে কোরআন, বিশেষ দোয়া-মোনাজাত এবং এতিম, গরিব ও হাফেজে কোরআন ছাত্রদের মাঝে নগদ অর্থ, পাঞ্জাবির কাপড় এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ।
উক্ত আয়োজন করেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।
দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ শামীম, যেখানে তিনি বলেন— “রাজনীতি হতে হবে গণ-মানুষের জন্য। তবেই মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব। এই মানবিক রাজনীতির পথিকৃৎ ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। দুর্নীতি যার অভিধানে কখনো ছিল না, সেই মহান নেতার আদর্শকে বুকে ধারণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র আলোচনা সভা বা দোয়া মাহফিল করলেই হবে না, বরং দরিদ্র-নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে তাদের সারা বছরের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করাই হবে প্রকৃত শ্রদ্ধা।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর অন্যতম উদ্যোক্তা। তার নেতৃত্বেই দেশে রাজনৈতিক বহুমাত্রিকতার সূচনা হয় এবং তিনি একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তি তৈরি করেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।”
দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান-এর সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে শহীদ হন রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে জাতিকে অভিভাবকহীন করে তিনি চিরবিদায় নেন। সেই থেকেই বিএনপি দিনটিকে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
চলতি বছর বিএনপি দেশব্যাপী ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করছে। বিগত প্রায় ১৬ বছর নানা বাধা-বিপত্তি ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মধ্যেও বিএনপি এই দিনটি পালন করে এসেছে। তবে দলের সাড়ে ১৫ বছরের টানা আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবার দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও বৃহৎ পরিসরে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হচ্ছে