জগন্নাথপুরে সাউন্ড সিস্টেম আত্মসাতের দায়ে দিদার পাগলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ আগস্ট, ২০২২, 9:40 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ আগস্ট, ২০২২, 9:40 PM
জগন্নাথপুরে সাউন্ড সিস্টেম আত্মসাতের দায়ে দিদার পাগলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ!
জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শাহ রুবেল সাউন্ড সিস্টেমের মালামাল ও নগদ অর্থ আত্মসাতের দায়ে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল ১৬ আগস্ট সন্ধায় জগন্নাথপুর থানায়- শাহ রুবেল সাউন্ড সিস্টেমের মালামাল ও নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে জগন্নাথপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা শাহ মস্তাব আলীর ছেলে মোঃ দিদার পাগলার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন- জগন্নাথপুর পৌরসভার মোকাম বাড়ীর বাসিন্দা শাহ মোঃ ছাদেক আলীর ছেলে শাহ রুবেল সাউন্ড সিস্টেমের সত্ত্বাধিকারী শাহ রুবেল মিয়া।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- আমি দরখাস্তকারী মোঃ রুবেল মিয়া থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি ইংল্যান্ড প্রবাসী। আমি বিগত চার বছর পূর্বে ইংল্যান্ড যাওয়ার পূর্বে জগন্নাথপুর বাজারে আমার মালিকানাধীন শাহ রুবেল সাউন্ড সিস্টেম নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়া সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলাম। বর্ণিত বিবাদী দিদার আলী আমার ব্যবসা পরিচালনা
করিতো। আমি তাহাকে বিশ্বাস করিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১,০০,০০০/-(এগারো লক্ষ) টাকার মালামাল তাহাকে বুঝাইয়া দিয়া আমি ইংল্যান্ড চলে যাই। বিবাদীকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্ব প্রদান করি। আমি ইংল্যান্ডে থাকাকালীন নিয়মিত বিবাদীর সাথে যোগাযোগ করতাম। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খোঁজখবর সহ তাহার খোঁজখবর নিতাম। আমি ইংল্যান্ড থাকাকালীন
বিবাদীকে আরো দুই ভাগে ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা প্রদান করি। বিবাদী আমাকে প্রতি মাসে ব্যবসার হিসাব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাকে জানাইতো। আমি আমার আয়ের টাকা আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা করার জন্য বিবাদীকে বলতাম। বিবাদী নিয়মিত আমার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা রাখিতো মর্মে জানাইতো। আরো বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বিবাদীকে আমি আরো ৩,০০,০০০/-(তিন
লক্ষ) টাকা প্রদান করি। গত ২৮/০৬/২০২২খ্রিঃ আমি দেশে আসি। আমি দেশে আসিয়াছি মর্মে আমি বিবাদীকে জানাই এবং বিবাদীকে আমার বাড়ীতে আসার জন্য বলি। কিন্তু বিবাদী আমার বাড়ীতে না আসায় আমি ঘটনার দিন অর্থাৎ ৩০/০৬/২০২২খ্রিঃ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হইয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ পাই। বিবাদীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। বিবাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাই এবং জানতে পারি যে আমি দেশে আসার পর হইতে বিবাদী নিজেকে
আত্ম-গোপন করিয়াছে। পরে আমি বাজার কমিটির সেক্রেটারীকে বিষয়টি অবগত করিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা আমার ক্রয়কৃত কোন মালামাল নেই দেখি। জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া জানিতে পারি যে, বিবাদী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল বিক্রয় করিয়া বিক্রয় লব্ধ টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে। এছাড়া প্রতিমাসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের টাকা আমার ব্যাংক
একাউন্টে জমা করার কথা থাকলেও বিবাদী আমার একাউন্টে কোন টাকা জমা করে নাই। তখন আমি বুঝতে পারি যে, বিবাদী আমার সরলতার সুযোগ নিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের টাকা সহ মালামাল বিক্রয় করিয়া এবং নগদ টাকা সহ সর্বমোট ১৬,০০,০০০/-(ষোল লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করে। পরে আমি বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইয়া কোন উপায়ান্তর না পাইয়া থানায় হাজির হইয়া অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম। বিবাদীর সন্ধানে অভিযোগ দায়েরে সামান্য বিলম্ব হইল ।
অতএব, উপরোক্ত বিষয় সু-বিবেচনা পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে আপনার সদয় মর্জি হয়
এছাড়াও সে শাহ রুবেল ভেরাইটিজ স্টোরের ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে নগদ অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।