ঢাকা ২৫ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সড়ক সংস্কারের দাবীতে ৫ গ্রামের লোকের মানববন্ধন ঢাকার পশুহাটে শেকৃবির ইন্টার্ন ভেটেরিনারি ডাক্তারদের চিকিৎসাসেবা শালিখায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তিন বকশীগঞ্জে জিয়া পরিবারের ছবি অবমাননার অভিযোগ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রামপালে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ বটিয়াঘাটায় মৎসজীবীদের নিয়ে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু সেনাবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ গ্রেফতার ৪ মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বিএনপি নেতাসহ আটক ২৪ উদোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক এ.কে.এম.মুজাহিদুল ইসলাম

গুন্ডালা মোর কোমরটাত চেয়ারলা ভাঙ্গিচে গে বাপু!

#

আক্তারুল ইসলাম আক্তার, ঠাকুরগাঁওঃ

১৮ ডিসেম্বর, ২০২১,  9:08 PM

news image

মিটিং টা শেষ করে মুই চেয়ারলা জড়াছিনু। একখান চেয়ারের পর  আরেকখান চেয়ার রাখিছু ওমনি গুন্ডালা বাড়িত ঢুকেহেনে এলোপাথাড়ি চেয়ার, টেবিল আর বাড়ির বেড়ালা ভাঙ্গিবা ধরিচে। মুই আটকাবা যাহেনে মোক ধাক্কা দে ফেলায় দিল। আর ওমনি মোর কোমরটাত চেয়ারলা দেহেনে মারে তিন খান চেয়ার ভাঙ্গিল গে বাপু। মুই এলা বেড়াবা পারুনা।



শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কড়ালিপাড়া গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হয়ে আহতবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন বিধবা বৃদ্ধা গোলাপী বেওয়া(৭০)।




এ হামলায় এই পরিবারে আরও তিন জন হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। 



তারা হলেন ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে আলাল ও দুলাল এবং বৃদ্ধা নাতনি ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জেলি আক্তার।



বৃদ্ধার বড় ছেলে আলাল জানান, আমার বাসায় আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনসারুলের খুলি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো। এর আগে আমাকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন হুমকি দিয়ে আসছিলো যেনো খুলি বৈঠক না করা হয়। তাদের নিষেধ অমান্য করে খুলি বৈঠক করায় আমার মা সন্তান ভাই সহ সবাইকে হামলার শিকার হতে হলো। এটা কোন দেশে বাস করছি আমরা। প্রার্থীরা তো ভোটকর সাথে বৈঠক করতেই পারে। 



আহত স্কুল ছাত্রী জেলি আক্তার জানান, ওরা আমাকেও ছাড় দেয়নি। আমাকে দরজার সাথে ধাক্কা দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আর কিছু বলতে পারিনা। 



স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বরাত আনছারুল,. খুলি বৈঠক শেষ করে  সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে প্রার্থী। এমন সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনিল কুমার সেনের সমর্থকরা ৪০ থেকে ৫০ জন এসে এ অতর্কিত হামলা চালায়। এখানে তারা নারী শিশু সহ আরও ১০ জনকে মারধর করে এবং চেয়ার সহ ঘরের আসবাপপত্র ভাঙচুর করে। তিনি  প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই যদি হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা তাহলে আমরা ভোটাররা নিরুপায়।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকা মার্কার প্রার্থী অনিল কুমার সেন এর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এটাকে প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থীর ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। 



রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ সেখানে যায়। গিয়ে দেখে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা এমন হামলা চালিয়েছে তা খুঁজে বের করতে পুলিশের অভিযান চলছে। কোন লিখিত অভিযোগ পেলে এবং তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।



পরদিন শনিবার বেলা বারোটায় এ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনছারুল হক।

logo সম্পাদক ও প্রকাশক: মিরাজুন নুরিয়া