খোকসার দেড়শো বছরের পুরোনো ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান এখন ধর্মীয় তীর্থস্থান
অনলাইন ডেক্স
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 2:42 PM

অনলাইন ডেক্স
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 2:42 PM

খোকসার দেড়শো বছরের পুরোনো ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান এখন ধর্মীয় তীর্থস্থান
হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
সভ্যতা ও সংস্কৃতি তিলে তিলে গড়ে ওঠে । কালের স্বাক্ষী হিসেবে বহন করে সভ্যতা । কুষ্টিয়ার খোকসা রেলস্টেশন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সবুজের শ্যামলের বেষ্টিত নয়নাভিরাম ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান মন্দিরাঙ্গন ।
ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠিত হয় ১২৭৯ বঙ্গাব্দে । ২৩০ শতক জমির উপর রয়েছে দৃশ্যমান মন্দির, শ্মশান , গোলঘর, অফিস রুম, দোতলা বিশিষ্ট আবাসন, রান্নাঘর এবং সান বাঁধানো পুকুর এবং মানবিক সাহায্য সংস্থা এইচ এ এইচ আর। বর্তমানে মানবিক সেবা কেন্দ্র এইচ এ এইচ আর আর্থিক অনটনের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড়শো বছর হলেও বারবার আবেদন করলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন মহাশ্মশানের উন্নয়ন কর্মকান্ড। আশেপাশের ১৩টি গ্রামের সনাতন ধর্মালম্বীদের তিন হাজার মানুষের বসবাস হলেও আর্থিক দুর্বলতার কারণে বৃহৎ পরিসরে মন্দিরাঙ্গনের অবকাঠামো নির্মাণ করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর আর্থিক অনটনের কারণে বছরে ১৫ টি ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম । হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমারোহে প্রাচীন এই মহাশ্মশান প্রাঙ্গণ সনাতন ধর্মালম্বীদের মহামিলনের এক তীর্থ ক্ষেত্র । এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি মানবিক সাহায্য সংস্থা এইচ এ এইচ আর কমিটি রয়েছে। এই কমিটি দেশে-বিদেশে মানবতার সেবায় অবদান রেখে যাচ্ছে। এই মানবিক সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী দিলিপ কুমার সেন। মানবিক সাহায্য সংস্থার কার্যক্রম করোনা কালীন সময়ের পর থেকে আর্থিক অনটনের কারনে বন্ধ রয়েছে । ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে শত শত দুঃস্থ মানুষ। চলতি বছরের আগামী মাসের ১০ মার্চ থেকে ৪ দিন ব্যাপী বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব রয়েছে। সরকারিভাবে আর্থিক অনুদান পেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব পরিপূর্ণতা লাভ করবে বলে জানান কমিটির নেতৃবৃন্দ।
ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার সন্ন্যাসী বলেন, আমাদের নিজেদের অর্থায়নে যতটুকু সম্ভব আমরা উন্নয়ন করেছি। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে আরো বেশি উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। তা না হলে ঝিমিয়ে পড়বে এই প্রতিষ্ঠানটি।
মানবিক সাহায্য সংস্থা এইচ এ এইচ আর কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, আমাদের ফান্ডে কোন টাকা নেই । এজন্য আমরা কোন কর্মকান্ড ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও চালিয়ে যেতে পারছিনা ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ্ত রায় দীপন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অনেক পুরোনো । আমি সব কিছু জেনে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন ।