নিজস্ব প্রতিবেদক, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা)

নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভার কমলপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তিনি ও তার স্ত্রী আহত হন। আতঙ্কে পরিবারটি বর্তমানে বাড়িছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ঘটনাটি ঘটে ১৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে। ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৭ এপ্রিল কেন্দুয়া থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন—মিজানুর রহমান, নাজমুল ইসলাম (রুমান), নুরজাহান ও রায়হান মিয়া। তারা বাদীর মামাতো ভাই ও মামী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বাদীর স্বত্ব-ভুক্ত জায়গা জবরদখলের চেষ্টা করছিল। ঘটনার রাতে তারা ধারালো রামদা, লোহার হাতুড়ি ও শাবল নিয়ে ঘরে ঢুকে প্রথমে মামুনের ওপর হামলা চালায়। মিজানুর রহমান রামদা দিয়ে কোপ দিলে মামুনের পিঠে গুরুতর জখম হয়। এরপর নাজমুল ইসলাম লোহার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন।

বাদীর স্ত্রী বাধা দিতে গেলে রায়হান তার গলার ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। নুরজাহান তার চুলের মুঠি ধরে টেনে মাথায় আঘাত করে।

পরে হামলাকারীরা ঘরের তালা ভেঙে আলমারি থেকে প্রায় ৩.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (মূল্য প্রায় ৩.৭৫ লাখ টাকা), নগদ ৩.৫ লাখ টাকা লুট করে এবং প্রায় ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “আমরা নিরীহ মানুষ। জায়গা দখল করতে না পেরে ওরা আমাদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে। এখন তারা উল্টো আদালতে মিথ্যা মামলা করেছে। আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনার পর বাদী মামলা করেছেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। দুই পক্ষই মামলা করেছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।