বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহীন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ের অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ''আইনজীবীর জমি দখলে মরিয়া'' এমন অভিযোগ উঠলে, আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় সরোজমিনে বিরোধীয় জমি পরিদর্শনে ও তদন্তে আসেন উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আর্শাদ। 

 উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে সাতলা ব্রিজ সংলগ্ন পশ্চিম পাড় ব্রিজের এর্পোজ রাস্তার পাশে যা সরকারের ক্রয়কৃত খাস জমি নিয়ে বিরোধীয় বাদি বিবাদী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে স্পষ্ট ভাবে বলেন, "আমি যতদিন আছি এলাকায় কাউকে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে আমি দিবো না, আইনানুগ যে জমির মালিক সে জমি ভোগ করবে, নিয়ম অমান্য করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে আমি কিন্তু গেরেফতার করতে বাধ্য হবো। "সেসময়ে এবিষয়ে এবিরোধীয় জমি নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যানকে তো জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি তাকে থাকতে বলেছি।"

এ ব্যপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার বলেন, "আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চলানো হচ্ছে এটা সম্পূর্ণ হাস্যকর ও বানোয়াট, বরং জমি নিয়ে দুই পক্ষের এই বিরোধীতা যেন কোন প্রকার দন্দ ও বিশৃঙ্খলা না হয় সে কারনে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ও সকলে একসাথে বসে সমস্যা নিরসনে জন্য আমাকে দ্বায়িত্ব দেন, সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারি এবং উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আর্শাদ। তারা বলেন আইনানুগ ও দলিলমুলে যারা জমির মালিক তারা সম্পত্তি ভোগ করবে, দির্ঘদিনের এই বিরোধ শেষ করতে দুই পক্ষকে নিয়ে একসাথে বসে স্থানীয় ভাবে সমাধান করার চেষ্টায় দুই পক্ষকে অবগত করি, কিন্তু সালিশি বৈঠকে বসার আগেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল"।

এসময়ে বাদি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সাতলা (আলামদী) গ্রামের মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে জানান, পশ্চিম সাতলা মৌজার ১১১১/১২ দাগে এক একর ৫৩ শতক সম্পত্তি ক্রয়সূত্রে তার পিতা মালিক হয়েছেন। গত ২৫ বছর থেকে ওই সম্পত্তি তারা ভোগ দখলে রয়েছেন। সেই জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা চলছে। 

অন্যদিকে বিবাদি স্থানীয় ১. অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, পিতা. মৃত মমিন উদ্দিন, ২. রিন্টু হাওলাদার, পিতা. মোঃ মিরাজ হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন,  ইউনিয়নের ১নং ওর্য়াডের ১৮৬ খতিয়ানে, এস এ দাগ নং: ১১০০, বিএস দাগ :  ৩০৭৭, ( আলামদী ১নং সিট) মোট ৪১ শতাংশ জমি ব্রিজের এর্পোজ রাস্তা করার জন্য সরকার তাদের ৪ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা নেয়, কিন্তু রাস্তার পাশের ফাঁকা খাজ জমি আইনানুগ তারা ভোগ করবে কিন্তু স্থানীয় মোতালেব বিশ্বাস ও তার দুই ছেলে মনির বিশ্বাস এবং হুমায়ন বিশ্বাস মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করছে।

এসময়ে উপস্থিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ বিশ্বাস এব্যাপারে জানান, "এই জমি বিরোধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গে উপস্থিতিতে মোতালেব বিশ্বাস সহ তার  ভাইদের নিয়ে বসা হলে, সালিশ ব্যক্তিদের মানঅপমান করে মোতালেব বিশ্বাসের দুই ছেলে। এসময়ে আমি প্রতি উত্তর দিলে আমার গায়ে হাত তোলে, আমি চারদিন হাসপাতালে ছিলাম। এব্যপারে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।" 

সরোজমিনে উপস্থিত থেকে দেখা যায়, এসময়ে বাদি- বিবাদী কারোরই কিন্তু এই জমি সংক্রান্ত কারনে চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার এর সম্পর্কে কোন প্রকার অভিযোগ ছিলো না। তাই আইনজীবী জমি দখলে মরিয়া সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা প্রকাশ করে স্থানীয়জন।'

পরিশেষে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আর্শাদ এর আহবানে উভয় পক্ষের দন্দ দূর করতে জমি সঠিক মাপ এবং দুই পক্ষই স স দলিল পত্র নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসতে একমত প্রকাশ করেন। ওসির এমন মানবিক সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানান সাতলার স্থানীয়জন।