ঢাকা ২৮ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
“প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়”—কেন্দুয়ায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত সড়ক সংস্কারের দাবীতে ৫ গ্রামের লোকের মানববন্ধন ঢাকার পশুহাটে শেকৃবির ইন্টার্ন ভেটেরিনারি ডাক্তারদের চিকিৎসাসেবা শালিখায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তিন বকশীগঞ্জে জিয়া পরিবারের ছবি অবমাননার অভিযোগ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রামপালে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ বটিয়াঘাটায় মৎসজীবীদের নিয়ে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু সেনাবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ গ্রেফতার ৪ মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বিএনপি নেতাসহ আটক ২৪

আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে : পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রী

#

তালহা জাহিদ, বরিশালঃ

২১ মার্চ, ২০২২,  8:04 PM

news image

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৩ বছরে গণতান্ত্রিক যাত্রা অব্যাহত আছে, ঝড়ঝাপটা যে আসেনি, তা কিন্তু নয়। সেগুলো আমরা মোকাবিলা করেছি। মানুষের সব চাহিদা পূরণে কাজ করছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য- কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে।


সোমবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে উপহার হিসেবেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, আলোর পথে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির পথে আমাদের এই যাত্রা কেউ দমাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের অনেক পূর্বেই এ অঞ্চলে বিদ্যুতায়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্ধ শিল্প কারখানাগুলো চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। 


তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করার পর বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম ১৬০০ মেগাওয়াট, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে তা ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কি. মি. বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন নির্মাণ করে ১৩ হাজার ৭১৩টি গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করি এবং আরও ৩৪ হাজার গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করার পরিকল্পনা নেই। আমরা ৩২ হাজার নতুন সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেই।


সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে সরকারে এসে আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি মাত্র ৩,২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,৫১৪ মেগাওয়াট। ১৩ বছরে ৩০,৬৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এ সময়ে আমদানিসহ মোট ১৯,৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছি ও ১৪৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছি।


তিনি বলেন, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত স্থাপিত দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ১৩তম আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশ। এই কেন্দ্রে জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ক্লিন কোল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।


শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীর সুন্দর ভবিষ্যৎ, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে আমি, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের (১ম পর্যায়) শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।


আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি ডেলিগেটরা।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম।'

logo সম্পাদক ও প্রকাশক: মিরাজুন নুরিয়া