হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:

এয়ার ফ্লো টেকনোলজি ও নিজস্ব কারিগরি প্রযুক্তিতে আরকেও জাতের পেঁয়াজের বীজের চাষ করে এক কাঠা জমি থেকে ৯ মন পিঁয়াজ উৎপাদন করেছে কৃষক মিঠু ও আবুল কালাম।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গড়াই নদী বিধৈত ওসমানপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামে কৃষক মিঠু ও আবুল কালাম এ সফলতা অর্জন করেছে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কৃষকের নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এয়ার ফ্লোর টেকনোলজির মাধ্যমে মাত্র ১২০ দিনের জীবনকাল পেঁয়াজ চাষ করে ৭'শ মন  মন পেঁয়াজের অধিকারী হয়েছেন এ দুই কৃষক।

মঙ্গলবার দুপুরে কৃষক মিঠু ও আবুল কালাম এর বাড়ি সংলগ্ন মাঠ প্রদর্শনী ও কৃষক উদ্বুদ্ধকরন এবং পেঁয়াজ  সংরক্ষণ বিষয়ক এক সেমিনারে আয়োজন করেন। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের তত্ত্বাবধানে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রদীপ্ত রায় দীপন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: বদরুদ্দোজা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলার ২৩ ও ২৪ নং ব্লক এর উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবারও জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ পিয়াজ উৎপাদনকারী কৃষক হিসাবে ওসমানপুরের মিঠু ও আবুল কালাম এর সাফল্যতা উঠে আসে। 

উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত পেঁয়াজের মাত্র চারটি পেঁয়াজের ওজন ১ কেজি হয়। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনায় ও মাত্র অল্প জাগার মধ্যে দুই কৃষকের ৩০০ ৪০০ মন মোট ৭০০ মন পেঁয়াজ সংরক্ষিত রয়েছে। মাঠ থেকে উৎপাদনের পর মাত্র ৪৫ দিন সংরক্ষণ করা হয়েছে উত্তর পেঁয়াজ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের প্রযুক্তি নির্ভর ও উন্নত প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান নিয়ে কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদনে এমন সফলতায় আগামীতে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের মাঝে এই জাতের পেঁয়াজের সম্প্রসারণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রদীপ্ত রায় দীপন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ওসমানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক কৃষকরা অংশগ্রহণ করেন।