আব্দুল গণি ফাউন্ডেশনের বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ
মোঃ শহীদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 11:27 PM

মোঃ শহীদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 11:27 PM

আব্দুল গণি ফাউন্ডেশনের বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আবদুল গণি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতামূলক অষ্টম শ্রেণীর মেধা বৃত্তি ২০২১ এর বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নগদ অর্থ, সনদ ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
সদর উপজেলায় নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে উক্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য সিনিয়র প্রভাষক শহিদুল ইসলামের পরিচালনায় গতকাল ৬ ফ্রেব্রুয়ারি এক আনন্দঘন পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফাদার দিলীপ সরকার (ও এম আই)।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উক্ত ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত সদস্য মোঃ মমিনুল ইসলাম (সহকারী শিক্ষক দেওয়ান শামছুল আবেদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়)। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সম্মানিত সদস্য জোস্না বেগম (প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, এমসি কলেজ সিলেট)।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম (সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়), আব্দুস সোবাহান মাস্টার (সাবেক প্রধান শিক্ষক), আবুল হোসেন (সভাপতি, সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি), আমিনুল ইসলাম সেলিম (সদস্য, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ) মোঃ আব্দুর রশিদ (চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদ)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ জমিরউদ্দিন মাসুক (সুপারেনটেনডেন্ট, ইয়াকুবিয়া দাখিল মাদ্রাসা), জয়নাল আবেদীন (সহকারী প্রধান শিক্ষক, কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়), ইসমাইল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম (সিনিয়র শিক্ষক নারায়নতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়), আব্দুস সোবহান, সিনিয়র শিক্ষক মঙ্গলকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষা অনুরাগী শফিকুর রহমান মধু মিয়া, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, শাহনুর রহমান, আমজাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠাননের শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন উত্তর সুরমায় এইরকম যুগান্তকারী, সময়োপযোগী মহত ও নিঃস্বার্থ উদ্যোগ এত বড় পরিসরে একমাত্র আব্দুল গনি ফাউন্ডেশনই প্রথম শুরু করেছে। এজন্য সবাই আব্দুল গনি ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দকে আন্তরিক অভিনন্দন ও এই প্রচেষ্টা চলমান রাখার জন্য জোর দাবি জানান। তারা বলেন প্রয়াত আব্দুল গনি সাহেব বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষাই সর্বোত্তম বিনিয়োগ। তাই তিনি শিক্ষায় বিনিয়োগ করে গিয়েছেন যার ফল এখন উনার ফ্যামিলি ও সর্বস্তরের মানুষ ভোগ করছেন। আমরা বেশিরভাগ মানুষই সম্পদকে আঁকড়ে ধরে রাখি নিজে বড় হওয়ার জন্য, সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই আমরা এর বিপরীত ফল দেখতে পাই। কিন্তু এই ফ্যামিলির দিকে তাকালে দেখা যায় তাদের অডেল সম্পদ না থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে শিক্ষাক্ষেত্রে। তারা আরো বলেন এই ফাউন্ডেশন এর সকল সদস্যদের অভিব্যক্তি নিজেরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার, স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হলেই শুধু সমাজ পরিবর্তন করা যাবে না প্রত্যেকটি ঘর থেকে এই ধরনের আদর্শ মানুষ সৃষ্টি করতে হবে। সর্বশেষে উক্ত ফাউন্ডেশনে সম্মানিত সদস্য সচিব, ডাক্তার এম নুরুল ইসলাম (আবাসিক সার্জন, ইএনটি, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ) এই ফাউন্ডেশন এর লক্ষ ও উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঘোষণা করে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন। তিনি সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।
এখানে উল্লেখ্য উত্তর সুরমার মোট ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা) ৩০০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫১ জন বৃত্তি প্রাপ্ত হন এর মধ্যে ২০ জন ট্যালেন্টপুলে এবং ৩১ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়।