অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি: ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুর, জনগণের ক্ষোভের প্রতিফলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 11:35 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 11:35 PM

অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি: ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুর, জনগণের ক্ষোভের প্রতিফলন
এফ এইচ মুন্না,বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং এরই মধ্যে ঢাকা শহরের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যা এই ঘটনার পিছনে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িতে কোনো ধরনের আক্রমণ বা ধংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেনি, তবে গতকাল রাতের এই ভাঙচুরের ঘটনা পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া। সরকারের দাবি, তার বক্তব্যের দুটি মূল অংশ ছিল। একদিকে, শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদান করা শহীদদের অপমান এবং অবমাননা করেছেন, অন্যদিকে, তিনি এখনও একই সহিংস ভাষায় কথা বলে চলেছেন, যা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনার এসব বক্তব্যের পরই জনগণের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, এবং এর ফলস্বরূপ ৩২ নম্বর বাড়ির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বস্ত করেছে যে দেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে, সরকারের দাবী, শেখ হাসিনাকে যদি বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখা যায়, তবে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়া থেকে রোধ করা সম্ভব।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কাছে একটি আবেদন রেখেছে, যাতে ভারত তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কাজে ব্যবহার না করে এবং শেখ হাসিনাকে আরও উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত রাখে।
জুলাই গণহত্যায় যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, এবং সরকারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সরকার।
*এখন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির যে চেষ্টা চলছে তা প্রতিহত করা এবং দেশের শান্তি এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করা।*