ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সড়ক সংস্কারের দাবীতে ৫ গ্রামের লোকের মানববন্ধন ঢাকার পশুহাটে শেকৃবির ইন্টার্ন ভেটেরিনারি ডাক্তারদের চিকিৎসাসেবা শালিখায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তিন বকশীগঞ্জে জিয়া পরিবারের ছবি অবমাননার অভিযোগ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রামপালে দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ বটিয়াঘাটায় মৎসজীবীদের নিয়ে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু সেনাবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ গ্রেফতার ৪ মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বিএনপি নেতাসহ আটক ২৪ উদোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক এ.কে.এম.মুজাহিদুল ইসলাম

'মিথ্যা মামলায় আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে’

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ মে, ২০২৫,  8:28 AM

news image

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন উপজেলার ৫নং গন্ডা ইউনিয়নবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিপ মিয়া, আব্দুল্লাহ, ফুল মিয়াসহ অনেকে বলেন, মরিচপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে, পেশায় অটোরিকশাচালক মোসলেম উদ্দিন (৩০)–কে অপহরণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তারা বলেন, মোসলেম উদ্দিন এলাকার সুনামধন্য ও নিরীহ ছেলে। তাকে পাশ্ববর্তী রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের এক মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। এই অভিযোগে মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৯ মার্চ কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর আগে, ১৮ মার্চ পুলিশ মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন। এলাকাবাসীর দাবি, মোসলেম উদ্দিন নির্দোষ এবং তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক।

মানববন্ধনে মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা আক্তার দুই সন্তানসহ উপস্থিত থেকে বলেন, ‘আমার স্বামী নিরপরাধ। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাই।’ একইভাবে মোসলেম উদ্দিনের মা বলেন, ‘আমার ছেলে নির্দোষ। তাই ইউনিয়নের শত শত মানুষ আজ তার মুক্তির দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে।’

মানববন্ধনে মোসলেম উদ্দিনের বাবা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে একজন অটোরিকশাচালক। ১৫ মার্চ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়ক থেকে ওই মেয়ে ও তার এক সঙ্গীকে রিকশায় তুলে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছে ভাড়ার টাকা না থাকায় তারা আমার ছেলের কাছে একটি বাটাম মোবাইল ফোন জমা রেখে চলে যায়। রাতেই মেয়ের স্বজনরা ফোন দিয়ে ফোনটি ফেরত চাইলে আমার ছেলে জানায়, মোবাইলটি তার কাছে রয়েছে, যা ভাড়ার বিনিময়ে জমা রাখা হয়েছে। এরপর তারা ফোন নিতে আসতে বলে এবং তাকে আঠারবাড়ি বাজারে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে আমার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগে ধরে নিয়ে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এভাবে আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি পুলিশের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘মোসলেম উদ্দিনের ঘটনা শুনেছি। সে আমাদের এলাকায় একজন নিরীহ অটোরিকশাচালক হিসেবে পরিচিত। এলাকাবাসীর দাবি, তাকে হয়রানি করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের অনুরোধ জানাই।’

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন -সত্যঘটনা উদঘাটন করাই আমাদের কাজ। এই মামলাটি যথাযথ ভাবেই আমরা তদন্ত করছি এবং দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

logo সম্পাদক ও প্রকাশক: মিরাজুন নুরিয়া